ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল মিলান

স্পোর্টস ডেস্ক
মার্চ ১০, ২০২৩ ৪:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে এসি মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিয়েছে টটেনহ্যাম। গত বুধবার দিবাগত রাতে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ম্যাচ শেষে টটেনহ্যামের কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে বলেছেন, ইউরোপিয়ান পরাশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে স্পার্সদের আরো কিছুটা সময় লাগবে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ থেকে বিদায়ের পাশাপাশি এফএ কাপের আশাও শেষ হয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে টটেনহ্যামের ১৫ বছরের শিরোপা খরা আরো এক মৌসুমের জন্য বৃদ্ধি পেল। টাচলাইনে কন্তে ফিরে আসাও ছন্দহীন টটেনহ্যামের আক্রমণকে উজ্জীবিত করতে পারেনি। তার উপর দুই হলুদ কার্ডের কারণে ক্রিস্টিয়ান রোমেরো মাঠ ত্যাগে বাধ্য হলে শেষ ১২ মিনিট স্বাগতিকদের ১০জন নিয়ে খেলতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে হতাশ কন্তে বলেছেন, ‘সত্যিই আমি সমর্থকদের কাছে দু:খ প্রকাশ করছি। আজ আমরা জয়ের খোঁজ করতে পারিনি। এই মাঠে কোন একদিন শিরোপা আসবে, এ যেন কল্পনাও করতে পারছি না। আমাদের অবশ্যই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে। টটেনহ্যামের জয়ের জন্য সমর্থকরা আর বেশিদিন ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারছে না, বিষয়টা আমি বুঝি।’ এদিকে, ২০১২ সালের পর এই প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো এসি মিলান। মিলানের অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুদ বলেছেন, ‘এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। যদিও আজ আমরা গোল আদায় করতে পারিনি। কিন্তু তারপরও আমরা গতি, শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়েছি। আজ আমাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল।’ লন্ডন শহরে যানজটের কারণে দুই দলি দেরিতে স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর কারণে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের তুলনায় ১০ মিনিট পরে শুরু হয়। পিত্তথলির অস্ত্রোপচারের কারণে প্রথম লেগে অনুপস্থিত কন্তে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে টটেনহ্যামের ডাগ আউটে ফিরেছিলেন। স্বভাবজাত বিদ্বেষী মনোভাব পোষন করে ক্লেমেন্ট লেঙ্গেলেটের হলুদ কার্ডের বিরোধিতা করে এই ইতালিয়ানকে ২১ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে। যদিও মাঠে তার শিষ্যরা কোন পজিশনেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। এ নিয়ে শেষ সাত ম্যাচে টটেনহ্যাম মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে এফএ কাপে দ্বিতীয় টায়ারের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের ম্যাচটিও রয়েছে। চলতি মৌসুমের পরেই কন্তের সঙ্গে টটেনহ্যামের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে যাবার বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আলোচানা শোনা যায়নি তার মুখে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি একেবারে স্পষ্ট। টটেনহ্যামের কোচ হিসেবে আমি এক বছর তিন মাস কাজ করেছি। সবসময়ই আমি একটি কথাই বলে আসছি আমাকে সময় দিতে হবে। কারণ আমার কাছে মনে হয় প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক প্রতিযোগিতায় জেতার মত শক্ত ভিত এই দলের নেই। এই মুহূর্তে ক্লাব খুব ভালভাবেই আমার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানে। চেয়ারম্যান ও স্পোর্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের আমি আমার পরিকল্পনার কথা জানাইনি। এখন আমাদের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। টটেনহ্যামের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি খুশী। কিন্তু দিনের শেষে আমাদের সবাইকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।’ মিলানের কারনেই আরো একটি পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে স্পার্সরা। প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করেছিলেন ব্রাহিম দিয়াজ। আরো একবার এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মিলানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বক্সের ভিতর বল নিয়ে ঢুকে গোলরক্ষক ফ্রেসার ফর্স্টারকে একা পেয়েও গোল আদায় করতে পারেননি। ২৫ মিনিটে পিয়েরে এমিলে হোবার্গের শট রুখে দিয়ে মাইক মেইগনান মিলানকে রক্ষা করেছেন। শেষ ২০ মিনিট আক্রমনভাগে চারজন নামিয়ে কন্তে আগ্রাসী কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। হ্যারি কেন, ডিয়ান কুলুসেভিস্কি ও সন হিউং-মিনের সঙ্গে ৭০ মিনিটে যোগ দেন রিচার্লিসন। কিন্তু তারপরও সফল হতে পারেননি স্পার্স বস। স্টপেজ টাইমে কেনের একটি শট সহজেই রক্ষা করেন মেইগনান। তার আগেই রোমেরোর লাল কার্ডে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল টটেনহ্যাম। থিও হার্নান্দেজকে ফাউলের অপরাধে স্পার্স ক্যারিয়ারে এই নিয়ে তৃতীয়বার লাল কার্ড পেলেন এই আর্জেন্টাইন। সান্দ্রো তোনালিও বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি মিলানের। বদলী খেলোয়াড় ডিভোক অরিগির একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। তবে সবকিছুর পরেও সাতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এক দশকেরও বেশি সময় পরে শেষ আটে পৌঁছে গেছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।