ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তাসখন্দে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট

ডেস্ক রিপোর্ট
মার্চ ২১, ২০২৩ ৬:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আমদানি-রপ্তানি খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুদেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে দুদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাময় দেশ উজবেকিস্তান। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি পোশাক খাতের কাচামালসহ তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া জনশক্তি রপ্তানিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজিএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত উজবেকিস্তানের সম্মানিত কনস্যুলার ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টারের (বিটিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আব্দীন এবং তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টারের (বিটিসি) সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা সাতজন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা এ সামিটের আয়োজন করছেন। তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে আগামী ২৬ ও ২৭ মে এ সামিট হবে। এ সামিটের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা ও মানবসম্পদ ইত্যাদি পণ্য এবং সেবার ভালো বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান।
এছাড়া উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ একই সঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানির বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য উজবেকিস্তান হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। দেশটি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার হতে পারে।
ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ বলেন, উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কেনেন তখন তারা দেখেন ট্যাগ লাগানো থাকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি সে দেশের সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। মাত্র দুই টাকা ইউনিটে বিদ্যুৎ, গ্যাস প্রায় ফ্রি, এছাড়া জায়গাও দিচ্ছে। এসব সুবিধা নিচ্ছেন ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এ সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুদেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। এ ধরণের সামিট ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সহযোগিতা করবে।
বিটিসির প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। খরচ কমাতে এখন দিল্লি হয়ে যেতে হয়। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট চার কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য, অন্যদিকে উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, পোশাক ও বস্ত্রখাতের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আর দেশটি থেকে সুতা তৈরির কাঁচামালা ও বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি করে বাংলাদেশ।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।